
তিনি শুধু এক দফার ঘোষক নন, বরং ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে জনগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে এক অনন্য ইতিহাস গড়লেন। সরকারি গাড়ি, বিলাসবহুল বাংলো, ভিআইপি প্রটোকল, ক্ষমতার সুবিধা—সব কিছু ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রমাণ করলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য দায়িত্বের চেয়েও বড় হলো জনগণের পাশে দাঁড়ানো।
রাজনীতিতে সাধারণত দেখা যায়, নেতা-মন্ত্রীরা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আপস করেন, পদ আঁকড়ে ধরেন। কিন্তু নাহিদ সেই ধারা বদলে দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, সৎ রাজনৈতিক নীতিতে জনগণের স্বার্থকে সবার ওপরে রাখা যায়। তার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ৫৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি নাহিদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, “দেশ ও জনগণের স্বার্থে মন্ত্রীত্ব যে ছেড়ে দেওয়া যায়, সেটাই আজ প্রমাণ করলেন নাহিদ। তার এই সিদ্ধান্ত আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”বিশ্লেষকরা বলছেন, নাহিদের এই সাহসী ও ত্যাগী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে নৈতিকতার নতুন মানদণ্ড স্থাপন করল। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার এমন দৃষ্টান্ত খুব কমই দেখা যায়, যা রাজনীতিতে স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও জনকল্যাণের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।